শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের এক সহোদরও গুরুতর আহত হন।
নিহত মো. আলী আমজদ (৬৫) উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের জাল্লাবাজ গ্রামের মৃত সরাফত আলীর ছেলে এবং গুরুতর আহত নিহতের বড়ভাই মো. আলী হোসেন (৭০)।
স্থানীয় ও জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফলু ইসলাম জানান, আলী আমজদ ও আলী হোসেন শুক্রবার বিকালে একটি ঠেলাগাড়ি নিয়ে প্রতিবেশী নূর ইসলাম ও শের মিয়ার উঠান ব্যবহার করে হাওর থেকে ধান আনার চেষ্টা করেন।
নূর ইসলাম ও শের মিয়া বাধা দিলে উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল ওয়াকিব সালিশ বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। কিন্তু রাতে নুর ইসলাম ও শের আলী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে আলী আমজদ ও আলী হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলী আমজদ মারা যান।
ওসি জানান, এ ঘটনায় হামলাকারী নূর ইসলামের স্ত্রী রেনু মালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে।