একইসাথে এসব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীদের জন্যে দুটি আবাসিক হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ দুটি হোটেলের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমেটরি ভবন।
করোনায় চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীরা যাতায়াতের জন্যে পরিবহন সুবিধা পাবেন। একইসাথে তাদের জন্যে থাকবে আর্থিক প্রণোদনাও। এসব সহায়তা প্রাপ্তিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে যুক্ত করা হবে বেসরকারি সেবা প্রদানকারীদেরও। রোগী পরিবহনের জন্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।
মঙ্গলবার রাতে যশোর সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠেয় যশোরে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলার সম্মিলিত বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল নেয়ামুল হালিম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন,বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) যশোরের সাধারণ সম্পাদক এমএ বাশার, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
সভায় সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, এ পর্যন্ত যশোর থেকে আইইডিসিআর, আইপিএইচ, খুলনা মেডিকেল কলেজ এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে মোট ২৮০টি নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ২৩৫টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২৩৪টি নেগেটিভ এবং একটি পজেটিভ ফলাফল এসেছে। যশোরে মণিরামপুর উপজেলার একজন স্বাস্থ্যকর্মী বাদে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। এখনও পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজের ২২টি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি এবং আইপিএইচের দুটিসহ মোট ৪৫টি নমুনার ফলাফল পৌঁছায়নি।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত তিনটি সাব কমিটির সাথে বসে পরিকল্পনা মাফিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কিছু উপকরণ স্বল্পতা থাকলেও আন্তরিকতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলা করা হবে। এর মধ্যে সরকার প্রদত্ত কিছু সুযোগ সুবিধা ও আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে।