জানা যায়, শরীরে করোনাভাইরাসের ‘উপসর্গ’ নিয়েই ঈদের ৩-৪ দিন আগে গাজীপুর থেকে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বরইটুপি গ্রামে যান আমিনুল। এরপর নিজেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ছুটে যান করোনা পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে নিজ বাড়িতেই চিকিৎসধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু এরমধ্যেই আমিনুলের সংস্পর্শে এসে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে শিশুসহ পরিবারের ৮ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
গত সোমবার ওই পরিবারের ১৫ জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার রাতে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় তাদের মধ্যে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ৮৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে একই পরিবারের ৮ জনসহ ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যা এ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলার সর্বোচ্চ। এ নিয়ে জেলায় মোট ৯০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলো।
নতুন আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১১ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ৪ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।
এদিকে, ভেড়ামারায় আক্রান্ত ৪ জনের মধ্যে ঢাকা থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসে বিয়ে করা উপজেলার ষোলদাগ গ্রামের যুবক রাসেলের আপন বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নে এবং ওই বিয়ের এক বরযাত্রীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।