রবিবার রাত ৮ টার দিকে রংপুর থেকে তাদের ঠাকুরগাঁও আনা হয় এবং ঠাকুরগাঁও স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ জানান, আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞগণ ওই পাঁচ জন রোগীর কফ, মুখের লালা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছে।
‘যেহেতু তাদের এখন আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে তাই রংপুর হাসপাতালের পরিবর্তে তাদের ঠাকুরগাঁও পাঠানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
আইইডিসিআরের পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া হবে বলেও জানান ডা, নাদিরুল আজিজ।
এর আগে শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান গ্রামে অসুস্থ হওয়া একই পরিবারের ওই পাঁচ জনকে করোনা সন্দেহে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়। পরে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন- রুহুল আমিন (৩০), তার স্ত্রী মমেনা খাতুন, তাদের আড়াই বছরের ছেলে রোহান, ছোট ভাই ইসমাইল (২৮) ও ভাইয়ের স্ত্রী আকলিমা (২২)।
অসুস্থ রুহুল আমিন জানান, তিনি ঢাকায় এক রেস্তোয়ায় কাজ করেন। গত ১৩ মার্চ তিনি মাদারীপুরে এক পিকনিকে গিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও এসেছেন। এসে তিনি অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাড়িতে আসার পর তার জ্বর বেড়ে যায় ও শ্বাসকষ্টের সাথে পাতলা পায়খানা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকাল থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের বসবাসরত গ্রামের লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।