বরিশালে আশঙ্কাজনক হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক ও সামাজিকসহ সকল ধরনের জনসমাগম সীমিত রাখার নির্দেশসহ ১৭ নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্তের হার ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। মার্চের প্রথম দিকেও এই হার স্থির থাকে। তবে ১৫ মার্চ থেকেই হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিভাগের মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্ত বরিশাল জেলায়। এখানে ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সাত দিনে ৪৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরের সাতদিনে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৪ জনে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভোলা জেলা। এই জেলায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সাত দিনে করোনা আক্রান্ত ছিল আটজন, যা পরের সাত দিনে ৩৫ জনে দাঁড়ায়। পিরোজপুরে সপ্তাহে ১১ জন আক্রান্ত হলেও পরের সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ জনে, ঝালকাঠিতে ওই সময়ে আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র চারজন, পরের সপ্তাহে ২২ জন আক্রান্ত হয়। বরগুনা ও পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও ২০ মার্চের পর তা বেড়ে যায়। বরগুনায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ শনাক্ত ছিল সাতজন আর পটুয়াখালীতে একজন। যা পরের সপ্তাহে বেড়ে বরগুনায় ৯ এবং পটুয়াখালীতে ১৮ জনে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সাধারণ ছুটির চিন্তা-ভাবনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এই বিভাগে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। ১৩ থেকে ১৯ মার্চ এই সাত দিনে বিভাগে আক্রান্ত হয় মাত্র ৭৭ জন, কিন্তু ২০ থেকে ২৬ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২৮ জন অর্থাৎ প্রায় তিনগুণ।
রয়েল সিটি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার পাশাপাশি করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও এখন অনেকেই আর পরীক্ষা করান না। এই অবস্থায় তারা বাইরে যাচ্ছেন, স্বাভাবিকভাবে সবার সাথে মিশছেন। এমনকি আইসোলেশনেও থাকছেন না।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানান, যারা স্বাস্থ্য সচেতন নন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।