মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে অনশনে অংশ নিয়েছেন তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এসএম পেয়ার আলী জানান, অনশনের কারণে সকাল থেকে সব সাম্পানঘাট বন্ধ রয়েছে।
অনশনরত মাঝিরা জানান, গত ১ বৈশাখ পাটনিজীবী নীতিমালা লঙ্ঘন করে পেশাদার সাম্পান মাঝিদের থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারা দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম। মাঝিরা এ অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৯ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রশাসন-২ শাখা থেকে পাঠানো পত্রে উপসচিব মো. ফজলে আজিম জন্মগত পেশাদার পাটনিজীবী সমিতিকে ঘাট ইজারা দেয়ার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন ঘাট মাঝিদের ইজারা দেয়ার অনুরোধ জানালেও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এ বিষয়ে পুনরায় আইনি মতামতের জন্য নির্দেশনাটি চসিক আইন কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এরপর গত ছয় মাসেও মাঝিদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়নি চসিক।
করোনার কারণে সাম্পান মাঝিরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। তার ওপর নিজেদের ঘাট হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারও মাঝি।
অনেকে বাপ-দাদা তিন পুরুষের এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে কর্ণফুলী থেকে সাম্পান চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে জানান মাঝিদের আন্দোলনের সহযাত্রী চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘চসিক মাঝিদের থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতির পরিপন্থী কাজ করছে। যা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।’
আন্দোলনের আহ্বায়ক এসএম পেয়ার আলী বলেন, ‘২০০৩ সালের পাটনিজীবী নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে মাঝিদের ঘাটছাড়া করেছে চসিক। আমদের দেয়ালে পিট ঠেকে যাওয়ায় দিনব্যাপী অনশন করতে হচ্ছে।’