নিহত আক্তার হোসেন (৫৫) মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাউন্সিলরের তিন ভাই আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর।
শুক্রবার সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি রোডের দক্ষিণ চাঙ্গিনী মোড় এলাকায় কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নিহত আক্তার হোসেন ও অভিযুক্ত কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন সম্পর্কে চাচাতো-জেঠাতো ভাই। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলর আলমগীরের ভাই বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে নিহত আক্তার হোসেনের সমর্থক আলালের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে দুপুরে জুমার নামাজের পর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। কাউন্সিলর আলমগীর, তার তিন ভাই, সমর্থকরা আক্তার হোসেন ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আক্তার হোসেনসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে নগরীর একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কাউন্সিলর আলমগীর ও তার ভাইদের হামলায় আক্তার হোসেন নামের ওই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল কাউন্সিলর আলমগীর ও আক্তার হোসেনের মধ্যে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর আলমগীরের তিন ভাই আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। কাউন্সিলর আলমগীর পলাতক রয়েছেন।