বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেনের স্বাক্ষরিত পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর লক্ষ্যে শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, মাদারীপুর ও গাজীপুরসহ করোনা সংক্রমিত কোনো এলাকার কোনো ব্যক্তি বা পরিবহন কুষ্টিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রবেশ ঠেকানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলার প্রধান প্রধান প্রবেশপথে প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্থানে সার্বক্ষণিক তল্লাশি চৌকি বসিয়ে সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়েছে।
যেসব স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সদর উপজেলার মনোহরদিয়া, কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর, খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ও কালিতলা, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়ামারা উপজেলার লালন শাহ সেতু এলাকা এবং দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ও কাজীপুর এলাকায়। এসব সড়ক দিয়ে ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর জেলা থেকে কুষ্টিয়ায় যাতায়াত হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দৌলতপুর উপজেলার ৩টি প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দিয়ে লকডাউন করা হয়। এর ফলে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা এবং ভেড়ামারা উপজেলার সাথে সড়কপথে দৌলতপুরের যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ব্রিজের ওপর এবং ধর্মদহ এলাকার কাজীপুর ব্রিজের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া আল্লরদর্গা বাজারে ব্যারিকেড দিয়ে পাশের ভেড়ামারা উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামীদুর্গাপুরে নারায়নগঞ্জ থেকে ৩০ পরিবার, কুমারখালী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর থেকে ১শ ৪০ পরিবার ও দৌলতপুর উপজেলায় ৩০টি পরিবার এসে আত্মগোপন করে আছে। ওই সকল পরিবারগুলোকে চিহ্নিতকরণের পর ওই সকল ইউনিয়ন ও গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা, ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, কৃষিপণ্য সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও ব্যক্তি এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
এদিকে কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) জানিয়েছেন, তাদের এলাকার অনেক বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জে বাস করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় ফিরেছেন। তাদের শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।