কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার জানান, গত রবিবার জ্বর ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত শিল্পী খাতুন (২৮) নামে এক তরুণীকে রাস্তা থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরে তাকে আইসোলেশনে নেয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিল্পীর মৃত্যু হয়। আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। সে সময় ফল নেগেটিভ ছিল। এখন মারা যাওয়ায় পুনরায় তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে, বলেন তাপস কুমার।
মৃত শিল্পীর বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, দৌলতপুরে বিকালে জ্বর ও বমি নিয়ে শাওন নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামের জুয়েল প্রামানিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শাওন মঙ্গলবার জ্বরে আক্রান্ত হয়। বুধবার তাকে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
খবর পেয়ে দৌলতপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর আলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের মাধ্যমে মৃত শিশুর শরীর থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করেন।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়া জেলায় জ্বর, ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেউ শনাক্ত হননি।