রবিবার সকালে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ও নুন খাওয়া পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে জেলার ছোট-বড় ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৯টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে আংশিক পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে ২২টি ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। চরাঞ্চলের আবাদি ফসলাদি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে তিল, চিনা, বাদাম ও সবজিখেতের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে ১০৭৫ হেক্টর পাট খেত, ৩৮ হেক্টর আমন বীজতলা, ৩৭২ হেক্টর আউশ, ১২০ হেক্টর সবজিখেত, ১১০ হেক্টর তিল, পাঁচ হেক্টর কাউন, ১০ হেক্টর মরিচ এবং ১৬৯২ হেক্টর ফসলী জমি।
এছাড়া গত এক সপ্তাহে নদ-নদীর ভাঙনে জেলায় প্রায় দু’শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
ভাঙন কবলিত এবং বানভাসীদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও উপজেলা পর্যায় থেকে ৩০২ মে. টন চাল এবং ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।