এছাড়া চলমান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো নির্মাণ এবং পুনর্নির্মাণ করার কাজও চলছে।
রবিবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা-আইওএম দুটি এসএআরআই আইটিসি নির্মাণ করেছে।
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৪ (লেদা) এবং উখিয়ার ক্যাম্প ২ (ডব্লিউ)-তে নির্মিত ওই দুটি বিশেষায়িত কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে ৪৭টি এসএআরআই আইটিসি শয্যা রয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবাসহ শয্যা সংখ্যা ১১০-এ উন্নীত করা হবে। এছাড়া শিগগিরই উখিয়ার কুতুপালংয়ে ক্যাম্প- ২০ (এক্সটেনশন)-এ আরও একটি ১২০ শয্যার এসএআরআই আইটিসির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
আইওএম কক্সবাজারের ইমার্জেন্সি হেলথ প্রোগ্রামের ডা. সমীর হাওলাদার বলেন, ‘উদ্বোধনকৃত ৪৭টি এসএআরআই আইটিসি শয্যা সুবিধাটি বাংলাদেশ সরকার এবং স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিকল্পনাকৃত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এসএআরআই আইটিসি’র বৃহত্তর প্রচেষ্টার একটি সামান্য দৃশ্যমান অংশ। আইটিসি’র পাশাপাশি আইওএম জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কন্টাক্ট ট্রেসিং (যোগাযোগের সন্ধান), হোম-বেইজ কেয়ার রেফারেল (বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবার রেফারেল) এবং জরুরি মুহূর্তের যোগাযোগসহ বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে অবদান রাখছে।’
এসএআরআই আইটিসির পাশাপাশি কক্সবাজারে আরও দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পুনর্গঠন করেছে আইওএম-এর মাইগ্রেশন হেলথ ডিভিশন, যেখানে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য রোগীদের পরবর্তী রেফারেলের জন্য সাময়িকেআইসোলেশন সুবিধা এবং সেন্টিনাল পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়া এবং রামু উপজেলায় সরকারের পরিচালনাধীন আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে সহায়তার জন্য আইওএম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন অফিস এবং বিশ্ব ব্যাংকের সাথে সমন্বয় করছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ২৭ জুন পর্যন্ত ৪৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।