করোনা উপসর্গ দেখে সব হাসপাতালই ভর্তি না নিয়ে ফেরৎ পাঠিয়েছে। এভাবে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বিনা চিকিৎসায় স্বামীকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখলেন রিনা ইসলাম।
কুষ্টিয়ার খোকসার একতারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস ও নুর নাহার দম্পতির একমাত্র সন্তান নুর আল আহাদ (৩২)।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে আহাদের লাশ কুষ্টিয়ার খোকসার একতারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুইজন পুলিশ সদস্য ও পরিবারের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে বহরামপুর কবরস্থানে আহাদকে দাফন করা হয় ।
মৃত আহাদের ফুফাতো ভাই পলাশ জানান, গত শনিবার হঠাৎ করে তার জ্বর আসে। কদিন পর থেকে কাশি আর সামান্য শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আহাদ নিজেই ঢাকা মেডিকেলের এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ আহাদের প্রচষবড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, এই রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। এখানকার আইসিইউ খালি নেই। এরপর এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহাদকে। কিন্তু উপসর্গ জেনে ঢাকার কোনো হাসপাতালই ভর্তি নেয়নি। এভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন-চার ঘণ্টা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে আহাদ, একপর্যায়ে পুনরায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসার সময় রাত দেড়টার দিকে পথেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার সোয়াব টেস্ট করে।