ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সকালে স্বজনদের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করেন মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরাসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে চারজনের লাশ গাজিনগর পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। লাশ দেখতে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ জড়ো হন নিহতদের বাড়িতে।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন জানান, আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ৯টায় আলুটিলা বটতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম ও ১০টায় ইসলামপুর জামে মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বটতলী কবরস্থানে মো. মফিজ মিয়াকে এবং ইসলামপুর কবরস্থানে সাহাব মিয়া ও তার দুই ছেলে আকবর আলী ও আহাম্মদ আলীকে দাফন করা হয়।
এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাতেই বড়গুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়ে নিহত বিজিবি সদস্য মো. শাওন খানের মরদেহ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে গাজিনগরে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই সাহাব মিয়া ও তার ছেলে মো. আকবর আলী মারা যান।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিজিবি সদস্য শাওন, স্থানীয় আহাম্মদ আলী, মফিজ মিয়া এবং মো. হানিফ মিয়াকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে শাওন ও আহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মো. মফিজ মিয়া।