গাইবান্ধা সদর উপজেলায় শারমিন আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
বুধবার অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে দিনভর ঘরবন্দি করে রাখেন স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলছুম বেগম। পরে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে গাইবান্ধায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাড়িতে বিস্ফোরণে নিহত ৩
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে কোরবান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে তার ওপর নির্যাতন করতেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ শারমিন অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিটের পর তার শরীরে গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলছুম বেগম।
গ্রামবাসী জানান, খবর পেয়ে শারমিনের শ্বশুরবাড়িতে গেলে দগ্ধ অবস্থায় তাকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। শারমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জেলা সদর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আরও পড়ুন: মুজিব শতবর্ষ: গাইবান্ধায় বিশ্বের ‘দীর্ঘতম’ আলপনা উৎসব
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মজিবর রহমান বলেন, শারমিনের সাথে কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে বুধবার সকালে গাইবান্ধা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলসুম বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে অগ্নিদগ্ধ শারমিনের পিতা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় বুধবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন।