হত্যার ঘটনা দেখে ফেলায় খালু সিদ্দিক বেপারীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে পেটে ও গলায় আঘাত করে পালিয়ে যান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ এবং নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরে বন্ধুদের সাথে নিয়ে রীনার বাসায় বেড়াতে আসেন হোসেন। রবিবার সকালে হোসেন ও তার দুই বন্ধু রীনার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনা রীনার স্বামী সিদ্দিক বেপারী দেখে ফেললে তাকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে পেটে ও গলায় আঘাত করে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর সিদ্দিক বেপারীর চিৎকার শুনে বাড়ির অন্য সদস্য ও আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক রীনা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রীনা আক্তারের বোনের ছেলে হোসেন তার দুই বন্ধুকে নিয়ে শনিবার দুপুরে তাদের বাসায় বেড়াতে আসে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. প্রণয় কুমার দাস জানান, রীনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সিদ্দিক বেপারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কোনো বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত করে হত্যার মূল কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।