এ ঘটনায় এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।
মামলার ৫নং আসামি সাজুকে (২১) সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকার শাহবাগ থেকে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে (৪৮) একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
সাজু একলাশপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নোয়াব আলী বেপারী বাড়ির লোকমানের ছেলে এবং ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই এলাকার মৃত হাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন উর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি মো.হারুন উর রশীদ জানান, আদালতে দেয়া ভুক্তভোগীর জবানবন্দি অনুসারে ইউপি সদস্যকে ২২ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এরআগে, এ ঘটনায় গত সোমবার দিবাগত রাতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব তিন দফায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে করেছে।
উল্লেখ্য, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ২০/২৫ দিন আগে এ ঘটনা ঘটলেও, গত রবিবার গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভিডিও চিত্রে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে তার মুখমণ্ডলে উপুর্যপুরি লাথি ও বেধড়ক মারধর করতে দেখা যায়। এসময় ওই গৃহবধূ বহুবার পায়ে ধরে এবং বাবা-বাবা বলে ডাকলেও নির্যাতন চালিয়ে যায় বখাটেরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসলে তিনি এ বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ প্রদান করেন।