চট্টগ্রাম আদালত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি শামসুল হক ওরফে বাচ্চুকে (৭১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বাস-স্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৭ পিস ইয়াবা জব্দ করার দাবি করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।
এর আগে একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৫ জানুয়ারি বিকালে তাকে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে হাজির করলে সেখান থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা, ১১ আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার শামছুল হক কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে। থাকতেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন।
পুলিশ জানায়, ৪ জানুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। ওইদিন দুপুরে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রীবাহী বাস থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুল হককে গ্রেপ্তার করে।
এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে পরদিন ৫ জানুয়ারি তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালতে তাকে মাদক মামলার জিআরও শাখায় বুঝিয়ে দেয় চন্দনাইশ থানা পুলিশ।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর শামসুলকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়।
আসামিকে হাজতে রাখার পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়।
এরপর তাকে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসিয়ে রাখার পর এক ফাঁকে শামসুল পালিয়ে যায়।
৫ জানুয়ারি বিকালে এ ঘটনা ঘটলে পরদিন ৬ জানুয়ারি নগরের কোতোয়ালি থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১০ বছর আত্মগোপনের পর মিরপুরে ২২ মামলার আসামি গ্রেপ্তার