সোমবার সকালে পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আবদুল কাদেরের আদালতে মামলা দায়ের করেন পুলিশী নির্যাতনের শিকার আইনজীবী সমর কৃঞ্চ চৌধুরী।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবি গৌতম চৌধুরী পার্থ।
আসামিরা হলেন- বোয়ালখালী থানার তৎকালীন ওসি হিমাংশু কুমার দাশ, এসআই আতিকুল্লাহ, এসআই আরিফুর রহমান, বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম আখন্দ, এসআই আবু বকর সিদ্দিকী, এসআই রিপন চাকমা, এএস আই আলাউদ্দিন, এসআই দেলাওয়ার হোসেন, লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাশ, সঞ্জয় দাশের সহকারী সজল দাশ, বোয়ালখালী উপজেলার সরোয়াতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন চৌকিদার দিদারুল আলম।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালত একটি মামলা করেছিলেন বাদী সমর কৃঞ্চ চৌধুরী।
আদালতের নির্দেশে এ মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলা দায়েরের পর তা আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে আদালত।
অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে বোয়ালখালী থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি হিমাংশু কুমার দাশ ও ৮ পুলিশ সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী সমর কৃষ্ণ চৌধুরী।
আইনজীবী গৌতম চৌধুরী পার্থ বলেন, মামলার বাদি সমর কৃষ্ণকে অন্যায়ভাবে পুলিশ ধরে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। এর ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জায়গা জমি নিয়ে এক আমেরিকান প্রবাসীর সাথে বিরোধের জের ধরে ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ সমর কৃষ্ণ চৌধুরীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাকে অস্ত্র ও ইয়াবার তিনটি মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে দেয় বোয়ালখালী থানার তৎকালিন ওসি হিমাংশু কুমার দাশ। এসব মামলায় দেড় মাস কারাভোগ করেন তিনি।