তারা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আলীমুল্লাহ (৭২) ও আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া পাড়ার শরিফ উদ্দিন (২২)।
তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন কি না নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার জানান, সোমবার বেলা ৩টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা আলীমুল্লাহ মারা যান।
এর আগে শরীফ রবিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম জানান, শরীফকে রবিবার রাতে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাঠানো হয়। তিনি সকালে সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। চমেক হাসপাতালে আনার পরই তার মৃত্যু হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলিমুল্লাহ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আর মেডিকেলে যিনি মারা গেছেন তার কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল। তারা কেউ বিদেশফেরত নন। বিদেশফেরত কারও সংস্পর্শেও আসেননি। তারপরও আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠিয়েছি।’
এদিকে, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে শরীফের মৃত্যুর খবরে তারা পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে শিলাইগড়া পাড়া লকডাউন করে দিয়েছেন। ‘প্রায় ১০০ পরিবারের বসবাস ওই পাড়ায়। তাদের সবার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে সোমবার ভোর থেকে সেখানে প্রবেশ কিংবা বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’