আহতদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা হলেন- সিহাব (১৪), আইনুদ্দিন (১৩), নাহিদ (১৩), সাব্বির (১৩), ইব্রাহীম (১৩), তরিকুল ইসলাম (১৩), আব্দুল আজিজ (১৩), সজিব (১৫), আব্দুল্লাহ (১৪), রহমান (১৫), নাহিদ (১৪) ও সিনিয়র সহকারী মৌলভী মোহাম্মদ হোসেন (৫০)।
গুরুতর আহত শিশু সিয়ামের (১০) অবস্থা অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আহম্মদ উল্যাহ বলেন, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত ২৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে নয়জন ছাড়া বাকিদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ও তিনজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফরাজিকান্দি কমপ্লেক্সের মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহীদ উল্যাহ জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে পরিত্যক্ত চার তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাদে শিক্ষককের সাথে শতাধিক শিক্ষার্থী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণে বিষয়ে একত্রিত হলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। হঠাৎ এতিমখানার বর্ধিত অংশের দ্বিতীয় তলার ছাদ ধসে পড়লে ওই স্থানে থাকা প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থী কম-বেশি আহত হয়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, ঘটনার পরেই আমরা তিন হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা করেছি। ওই ভবনটি আগে থেকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, আহতদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা এখন ভাল আছে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।