যোগাযোগের ক্ষেত্রে কানেকটিভিটির গুরুত্ব দিয়ে ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সেতুটির কাজের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর-হাইমচর) আসনের এমপি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের এমপি ড. শামসুল হক ভূইয়া।
সেতুটির পূর্ব প্রান্তে চাঁদপুর সদরের রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রাম এবং পশ্চিম প্রান্তে পাশের উপজেলা ফরিদগঞ্জের ২নং বালুথুবা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৭৪ মিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার (২৪ ফুট)।
শুরুতে এ সেতুর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি টাকা।
এর মাধ্যমে চাঁদপুরের পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের ও পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক মাইলফলক হবে জানান সেতুর উভয় পাশের এলাকাবাসী।
স্থানীয় রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটোয়ারী বলেন, আমরা আনন্দিত যে আমাদের এলাকায় এ রকম একটি সুন্দর সেতু নির্মিত হচ্ছে। এ সেতুর নামও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের নামে যা আমাদের সবাইকে গর্বিত করে।
‘এজন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই,’ যোগ করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুস হোসেন বিশ্বাস জানান, জন গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায়। মূল সেতুর কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে-যা সকলের দৃষ্টি কেড়েছে এবং এতে ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি টাকা। এখন বাকি সেতুর উভয় পার্শ্বে এপ্রোচ সড়ক যা প্রায় আধা কিলোমিটার। এপ্রোচ সড়কের জায়গা (প্রায় আধা কিলোমিটার) অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং এর নকশাও অনুমোদন হয়ে গেছে। এপ্রোচ সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। খুব শিগগিরই এপ্রোচ সড়কের কাজের টেন্ডার হচ্ছে বলে তিনি জানান।
‘আগামী জুনের মধ্যে এই সেতুর এপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং এর পরে সেতুটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে,’ যোগ করেন ইউনুস হোসেন বিশ্বাস।