আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাদরাসা মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
সরেজমিনে রবিবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাদরাসা মাঠে গেলে দেখা যায়, সাদ্রা হামীদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের জন্য মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন।
এ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী জামাতে ইমামতি করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদ দেখা যায়নি; মধ্যপ্রাচ্য ঈদ সোমবার
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি— এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।
শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখা গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফেও ঈদের জামাত হয়েছে।
স্থানীয় মুসল্লীরা মাওলানা ফারুক আহমেদ, বজলুর রহমান ও অন্যরা জানান, সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের লোকজন এক দিন আগে থেকে গত ২ এপ্রিল থেকে রোজা পালন শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলা হাজিগঞ্জ, মতলব ও কচুয়া ও শাহরাস্তির ৪০ গ্রামের মানুষজন রোজা পালন ও পরে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফে পীর মাওলানা ইছহাক মিয়ার অনুসারীরা গত ৯৩ বছর ধরেই আকাশে বিশ্বের কোন দেশে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে রোজা পালন করে ও ঈদ উদযাপন করে থাকে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ঈদের রাত থেকে ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
সে অনুয়ায়ী আগামীকাল সোমবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করবে বাকী ৩৮ গ্রামের মানুষ । এর মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাখনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলব উত্তরের মোহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কিছু গ্রামসহ প্রায় ৩৮টি গ্রাম।