শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান আলী আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকাতে সবজির ব্যবসা করতো বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।
স্থানীয়দের বরাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার জানান, শনিবার ভোররাতে আকবর আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের পঙ্গু হামিদুল ইসলামের বাড়িতে তার স্কুল পড়ুয়া নাতনির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
সেসময় স্কুলছাত্রীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা প্রতিরোধ করতে গেলে আকবর আলীর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মেয়েটির মামা হাসান আলী। আহত হয় ওই স্কুলছাত্রীসহ তার নানা হামিদুল ইসলাম।
পরে গ্রামবাসী টের পেয়ে হামলাকারী আকবর আলীকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তারও মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা গুরুতর আহত গৃহকর্তা হামিদুল ইসলাম ও তার স্কুল পড়ুয়া নাতনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু এহসান মো. ওয়াহেদ রাজু জানান, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের কারণে পঙ্গু হামিদুল ইসলামের শরীরে অসংখ্য ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড (স্থানান্তর) করা হয়েছে। আহত স্কুলছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার জানান, ধর্ষণ চেষ্টাকারী আকবর আলী বেশ কিছুদিন ধরে ওই গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করছিল। ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে সবজির বিক্রির ব্যবসা করলেও তার স্বভাব চরিত্র খারাপ ছিল। এর আগেও সে গ্রামের এক নারীকে ধর্ষণের সময় হাতে নাতে আটক হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, নিহত হাসান ও আকবর আলীর লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে আমরা কাজ করছি।