একদল দুর্বৃত্ত বাগানে ঢুকে রবিবার দিবাগত রাতে গাছগুলো কেটে মাটিতে ফেলে এবং বাগানের কেয়ারটেকারের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়ার দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তার প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের কলোনীপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক মো. মনিরুজ্জামান ওমরের অভিযোগ, ২০১১ সালে দর্জিপাড়া মৌজায় পাঁচ বিঘা জমি ক্রয় করেন তিনি। জমিটিতে গত ৬-১৬ মাস ধরে চা, আম, তেজপাতা ও সুপারি বাগান গড়ে তোলেন। এরপর থেকে পার্শ্ববর্তী কানকাটা গ্রামের সাহেব আলী জমিটি নিজের বলে দাবি করেন। কিন্তু যেই দলিলমূলে তিনি জমিটি দাবি করছেন, ইতোমধ্যে ওই দলিলটি জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তেঁতুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ চৌধুরী ও সদর মহফেজখানার রেকর্ড অফিসার সাহেব আলীর দলিলটির কোনো মিল পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে সাহেব আলীর নেতৃত্বে উক্ত চা বাগানের গাছ কাটার সময় ভাড়াটিয়া ইউসুফ আলীকে ধরে থানায় সোপর্দ করে এবং সায়েদ আলীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনের নামে তেঁতুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন মো. মনিরুজ্জামান ওমর।
এই মামলায় গত রবিবার আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে গভীর রাতে সাহেব আলীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ বাগানে প্রবেশ করে এবং কেয়ারটেকার আব্দুল্লাহকে বেঁধে রেখে বাগানের সব গাছ কেটে দেয় এবং ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিস ও তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি শুনেছি। তবে তদন্ত না করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।