মৃত ডা. সুলতানা পারভীন (৩৭) মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকার আলাউদ্দিন আজাদের মেয়ে। সুলতানা পারভীন ৩০তম বিসিএসের মেডিকেলের (গাইনী) ছাত্রী ছিলেন। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২৮/এ নং বাসা, রোড নং-৩, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকায় থাকতেন। তিনি মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান, শনিবার রাতে ডিউটি শেষে সুলতানা পারভীন হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারে ফিরে যান। রবিবার সারাদিন বাসা থেকে বের না হওয়ায় সন্দেহ হলে সন্ধ্যার পর পুলিশসহ হাসপাতালের অন্যান্য স্টাফদের নিয়ে কোয়ার্টারে তার রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার ও সার্কেল এসপি ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে ডা. সুলতানা পারভীন আত্মহত্যা করেছেন। তার শরীরে প্যাথেডিন পুশের আলামত পাওয়া গেছে। ৫টি প্যাথেডিন ও একটি সিরিঞ্জ তার বালিশের নিচে পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, এব্যাপারে মেলান্দহ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।