এবার সেনেটারি প্যাডের ভেন্ডিং মেশিন উদ্ভাবন করেছে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া তারা ‘অটোমেটিক হাউস ক্লিনার অ্যান্ড লাইফ সেফটি রোবট’ ও কৃষি ভিত্তিক রোবট ‘স্মার্ট এগ্রো রোবট’ তৈরি করে।
এই মেশিন তৈরিতে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাতজন শিক্ষার্থীর একটি টিম কাজ করেছে।
টিমের প্রধান শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশের মেয়েরা প্রায়ই স্যানেটারি প্যাড দোকান থেকে কিনতে যেয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে। অনেকে আবার দোকান থেকে প্যাড কিনতে দ্বিধাবোধ করেন। এ কারণে অনেক মেয়ে স্যানেটারি প্যাড ব্যবহার করে না। ফলে নানা ধরনের সমস্যাসহ ইনফেকশনে ভুগতে হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা তৈরি করেছি ‘আইওটি বেসড স্মার্ট ভেন্ডিং মেশিন ফর সেনেটারি প্যাড’। এই মেশিনের সাহায্যে একজন মেয়ে খুব সহজেই তার প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাড সংগ্রহ করতে পারবে। প্যাড সংগ্রহ করার জন্য গ্রাহককে মেশিনের ভেতরে ১০ টাকা দিতে হবে যার বিনিময়ে তিনি খুব সহজে একটি সেনেটারি প্যাড পেয়ে যাবেন।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ সীমান্তে আটক ৭: বিজিবি
উদ্বোধন টিমের সদস্য শারমিন আক্তার তন্নি বলেন, ‘মেশিনের মধ্যে প্যাড ফুরিয়ে গেলে মেশিন ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিবে। তখন নিয়ন্ত্রকারী আবারও মেশিনে প্যাড দিয়ে আসবে। এতে দোকানী বা ব্যবহারকারী কাউকে বাড়তি সময় দিতে হবে না।’
টিমের অন্য সদস্য আহম্মেদ বাপ্পি বলেন, ‘একটি মেয়ে খুব সহজে মেশিনের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে মেশিন কোন কোন লোকেশনে আছে তা দেখতে পাবে এবং মেশিনের গায়ে লাগানো কোড স্ক্যান করে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করেও প্যাড ক্রয় করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ১১ মাসে সড়কে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা আদায়
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. সাজেদ উর রহমান বলেন,শিক্ষার্থীদের ‘আইওটি বেসড স্মার্ট ভেন্ডিং মেশিন ফর সেনেটারি প্যাড’ উদ্ভাবনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের যখন যেটা প্রয়োজন আমরা সরবরাহ করার চেষ্টা করেছি। আমরা প্রজেক্টটির সফলতা কামনা করি।’