তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর ইঞ্জিনের আগুন কীভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগির ভেতরে ঢুকলো এটা ভাবনার বিষয়।
বিকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক বছর আগে তথাকথিত আন্দোলনের নামে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় মুলিবাড়ীতে একটি ট্রেন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল একটি মহল। তারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত কিনা সেটাও সন্দেহজনক।’
উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্তে গঠিত একাধিক কমিটি তদন্ত শুরু করে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুজন বলেন, ‘এখানে সিগন্যালের অবস্থা যথাযথ ছিল। ওই ট্রেনের ১৪টি বগি বিপুল টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। এসব বগির স্থায়িত্ব কমপক্ষে ২০ বছরের বেশি।’
মন্ত্রীর পরিদর্শনকালে রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই একাধিক তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার এই লাইনে সংস্কারের কাজ করায় নিয়োজিত উল্লাপাড়ার কালিগঞ্জ গ্রামের আরিফ হোসেন ও মাটি কোড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব ফারুকুজ্জামান, পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিহির কান্তি ভৌমিক, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আরিফুজ্জামানসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের অদূরে আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ৩টি বগিতে আগুন ধরে যায়। এতে ওই ট্রেনের চালকসহ কমপক্ষে ৩৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এরআগে গত সোমবার দিবাগত রাতে কসবার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।