পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতীয় পুলিশ সোমবার বাংলাদেশি পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
এর আগে গত শনিবার সকালে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বামনদল সীমান্তের ৮৩৬ ও ৮৩৭ নম্বর মেইন পিলার এলাকা থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে যায় ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত আবু সাঈদ পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল এলাকার বাসিন্দা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও নিহতের পরিবার জানায়, ওই সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে তামাক খেতে কাজ করছিলেন আবু সাঈদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় চোরাকারবারি সন্দেহে বিএসএফ আবু সাঈদকে মারপিট করে বিদ্যুতের পিলারের কাছে ফেলে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হলে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ তার মরদেহ তুলে ভারতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে গরু পাচার করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিজিবি রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি পাঠিয়ে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। পরে দুদিন পর সোমবার ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি রাজেশ কুমার নিহত বাংলাদেশি আবু সাঈদের মরদেহ বুড়িমারী স্থলবন্দর গেটে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন্ত কুমার মোহন্তের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওসি সুমন্ত কুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।