রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালদতের বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. উমরুল হক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুদক রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপর তদন্তভার অর্পণ করে।
রাজশাহী জেলা দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন।
তিনি বলেন, তদন্তে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান কলেজ একাউন্টের ৭২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩০ টাকা অত্মসাত করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদিকে, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের শ্যালক সেলিম হাসান অন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলেও গোদাগাড়ী কলেজে তার পূর্বের যোগদান বহাল রাখেন এবং তাকে সরকারি কলেজের শিক্ষক করার মানসে সেলিম হাসানের কাগজপত্র ডিজিতে প্রেরণ করেন।
এছাড়াও তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তারেক আজিজকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। ফলে দুদকের তদন্তে আব্দুর রহমানের ঘুষ নেবার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন মর্মে মনিরুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬১ ধারায় দুদকের নিকট জবানবন্দি প্রদান করেছেন।