খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে।
সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুন্দরবন, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাজুড়ে আঘাত হানা শুরু করেছে।’
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রভাগ খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। যার প্রভাবে জেলায় ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইছে।
সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়ে সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।
নদীতে জোয়ার থাকায় কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের নিম্নাঞ্চল বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে নদীর পানি প্রবল বেগে আচড়ে পড়ছে বেড়িবাঁধের ওপর।
সন্ধ্যার আগে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি (ঘূর্ণিঝড় থেকে জানমাল রক্ষার জন্য)...তারপরও আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যাতে ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়।’
সকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আম্পানের ভয়াবহতা থেকে জানমাল রক্ষার্থে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের ১৯ জেলার মোট ১৪ হাজার ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। পাশাপাশি ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন ।