শনিবার দুপুরে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৩ ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত গতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার পাট, সবজি ও বীজতলা ডুবে গেছে। অনেক এলাকায় গ্রামীণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। চরের অধিকাংশ ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ও সড়ক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, তার ইউনিয়নের ঝুনকারচর, রলাকাটা, ভগবতিপুর, পোড়ারচর, কালির আলগা, গোয়ালপুরী, রলাকাটা, চর পার্বতীপুর, চর ঘনেশ্যামপুর, সিপেরচরসহ ১৫টি চর প্লাবিত হওয়ায় কয়েকশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ উলিপুরের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব এলাকার চলতি মৌসুমের ফসলের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাট, ভুট্টা, সবজি খেত।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ধরলা ও তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।