সোমবার সকালে মাওয়া অংশের ১৯ ও ২০তম খুঁটির ওপর বসানো হয় ‘৪এ’ নম্বর স্প্যানটি। ১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩১৪০ মেট্রিক টন ওজনের স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে অগ্রগতির আরেক ধাপ এগিয়ে গেল স্বপ্নের এ সেতুর নির্মাণ কাজ।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, সকাল থেকেই স্প্যানটি পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে এরপর খুঁটির ওপর তুলে দেয়া হয়। যখন খুঁটিতে পুরো স্প্যানটি সেট হয়ে যায়, তখন ঘড়ির কাঁটায় পৌনে ১১টা। করোনা দুর্যোগের মধ্যেও বিশাল এ স্প্যানটি বসানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রবিবার সকাল ৮টার দিকে স্প্যানটিকে মাওয়ার কাছে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে করে নিয়ে খুঁটির কাছে আনা হয়। সোমবার সকাল ৭টা থেকে স্প্যানটিকে পিলারের ওপর বসানোর কাজ শুরু হয়।
এর আগে গত সোমবার ২৯তম স্প্যান স্থাপন ছাড়াও করোনার মধ্যেই গত ২৮ মার্চ পদ্মা সেতুর ২৭তম স্প্যান এবং ১২ এপ্রিল ২৮তম স্প্যান খুঁটিতে উঠেছে। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর খুঁটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সব খুঁটি স্থাপন সম্পন্ন হয়।
এছাড়া চলতি মাসেই ৩০তম স্প্যানও বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য দিনরাত কাজ করে চলেছেন দেশি-বিদেশি প্রায় দুই হাজার কর্মী।
উল্লেখ্য, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড নিতে সক্ষম।
নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন।