একপক্ষ চেক জালিয়াতির ব্যাপারে অপর অংশীদারের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন আর অপরপক্ষ থানায় চেক চুরির মামলা করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
বোয়ালমারীর কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাজী আব্দুল্লাহ আল রশীদ নামে ওই ব্যবসায়ী জানান, দুই বছর আগে তিনি একটি আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। যার মূল অংশীদার ছিলেন বায়েজিদ আব্দুল্লাহ। তবে কাগজপত্রে বায়েজিদের ছোট ভাই মেহেদি হাসান অংশীদার ছিলেন।
তিনি জানান, ব্যবসার ডিরেক্টরশিপের পাওনা বাবদ মেহেদি হাসান রাজিব তাকে ১০ লাখ টাকার এবং ছোট ভাইকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর জন্য ধার নেয়া টাকা পরিশোধবাবদ ২৫ লাখ টাকার দুটি চেক দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ওই দুটি চেক নগদায়ন করতে না পেরে গত মাসে তিনি মেহেদি হাসানকে একটি উকিল নোটিশ পাঠান।
ব্যবসায়ী কাজী আব্দুল্লাহ আল রশীদের অভিযোগ, মেহেদি হাসান থানায় তার বিরুদ্ধে উল্টো আদালতে চেক চুরির মামলা করেন। গত ৯ আগস্ট ওই মামলার তদন্তে এসে বোয়ালমারী থানার এসআই সাইফুদ্দিন তাকে থানায় ডেকে নেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই প্রতিপক্ষের লোকেরা তার কাছে থাকা চেক দুটি ফিরিয়ে দিতে বলেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।
এ ব্যাপারে এসআই সাইফুদ্দিন বলেন, আদালত হতে তদন্তের নির্দেশ পেয়ে কাজী আব্দুল্লাহকে ডাকা হয়েছিল বিষয়টি জানতে। থানায় ডেকে লোকজন জড়ো করে তাকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ সঠিক নয়। এ ব্যাপারে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মেহেদি হাসান রাজিব বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ে সব মিলিয়ে খরচই হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। যার মধ্যে আমার বিনিয়োগ ছিল ১৫ লাখ। আর ছোট ভাইকে অস্ট্রেলিয়া পাঠাই ২০১৬। তাতে খরচ হয়েছিল ৮ লাখ। তাহলে কেন তাকে এত টাকার চেক দেব?’
তিনি বলেন, ব্যবসার হিসেব নিকাশ চাওয়ায় তার সরলতার সুযোগ নিয়ে কাজী আব্দুল্লাহ এসব অভিযোগ করছেন।
তিনি জানান, এ ব্যবসায় বায়েজিদ আব্দুল্লাহর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।