একই সাথে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা ইলিয়াস জোমাদ্দার (৫৫) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা গ্রামের ব্দুল গফ্ফার জোমাদ্দার ছেলে ও রাশিদিয়া (স্বতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদরাসার সুপার।
মামলা সূত্রে জানায়, নির্যাতনের শিকার ১০ বছর বয়সী ৫ম শ্রেণির ওই মাদরাসার ছাত্রী। প্রতিদিনের মতো আরো তিনজন সহপাঠিকে নিয়ে সে গত বছর ৮ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ওই মাদরাসার সুপার মাওলানা ইলিয়াস জোমাদ্দারের কাছে কোরআন শিক্ষার জন্য যায়। পৌনে ৮টার দিকে সুপার অন্য তিনজন ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে ওই ছাত্রীকে মাদরাসার লাইব্রেরির কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে মামলা না করার জন্য মাদরাসার সুপার ভিকটিমের মা-বাবার পা ধরে মাফ চায়।
ঘটনার ১১ দিন পর ১৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ইলিয়াস জোমাদ্দারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর আসামি পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই বছর ১৮ অক্টোবর আসামিক গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ এপিপি রনজিৎ কুমার মন্ডল জানান, আদালতে অভিযোগ গঠনের পর মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ছিল।
মামলার বাদী মেয়েটির বাবা জানান, তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন। উচ্চ আদালতেও যেন এই রায় বহাল থাকে এমন প্রত্যাশার কথা জানালেন তিনি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আলী আকবর জানান, এই রায়ে তার মক্কেল সংক্ষুব্ধ হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আফিল করবেন।