বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নিম্ন অঞ্চল এমনকি শহরের কোন কোন সড়কেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে করোনাকালে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন অঞ্চলে বেশকিছু আমন ধানের বীজতলা ডুবে গেলেও ভাটার সময় পানি নেমে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর চার হাজার ২৮২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বেশি বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। জেলায় ৭৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে ২১ হাজার ১৩৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে জমির লবণাক্ততা কমছে। তবে এভাবে আর কয়েকদিন বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে নিম্ন এলাকায় আমন ধানের বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হতে পারে। রবিবার ভোর ৬টা থেকে থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় গড়ে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টায় বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়।