এ ঘটনায় আনন্দ ও রানা নামে দুজন গ্রেপ্তার হলেও মূল আসামি নাঈম এখনো পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে এইচএসসি পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে তার এক বন্ধু নাঈম জয়দেবপুরের বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নেয়। বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে একটি অটোরিকশায় প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে শিমুলতলী এলাকায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে নাঈমসহ তিনজনকে দেখতে পায় ভুক্তভোগী। সেখানে জঙ্গলের পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে জোর করে তিনজনে মিলে দল বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে বাধা দিলে তাকে শারীরিকভাবেও জখম করা হয়।
পরে ধর্ষণকারীরা ছাত্রীটিকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে অটো স্ট্যান্ডের রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরে স্বজনদের কাছে তুলে দেয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পরীক্ষার জন্য তাকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
জেলা শহরের একটি বেসরকারি কলেজে পড়ুয়া ভুক্তভোগীর সাথে ধর্ষণকারীদের মূল হোতা নাঈমের পরিচয় হয় একই সাথে লেখা পড়ার সুবাদে।
জিএমপি'র ডিসি (ডিবি) মো. জাকির হাসান জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আনন্দ ও রানাকে সদর থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধান আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তারের জোর তৎপরতা চলছে।