সিলেটের বিশ্বনাথে প্রিয়াংকা রানী নাথ ওরফে সঙ্গী (২২) নামে এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রামাইচক রহিমপুর গ্রামে নিজের বড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
প্রিয়াংকা ওই গ্রামের নরউত্তম দেবনাথের মেয়ে ও সিলেট মদন মোহন কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে নিজের শোবার ঘরের ছাদে ব্যবহৃত বাঁশের সাথে ওড়না ও দরজার পর্দা দিয়ে ফাঁস নেন। একপর্যায়ে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে নিষ্প্রাণ হয়ে যায় প্রিয়াংকার দেহ। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় তার ভাই সুজন দেবনাথ ওইদিন রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দেন। তবে কেন, কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রিয়াংকা? এর সঠিক জবাব জানাতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরির মাধ্যমে সংসার চালাতো প্রিয়াংকা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিতা ছিলেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. সজ্জাদ আলী জানান, এনজিও সংস্থার মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী মিরগাঁও গ্রামের আবদুল আজিজের বাড়িতে শিক্ষকতা করতেন প্রিয়াংকা। প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেল ৪টায় বাড়িতে যান। বৃদ্ধ বাবা পাশের ঘরে থাকলেও মা পাশের বাড়িতে কীর্তনে ছিলেন।
আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে প্রিয়াংকার ভাই সুজন দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে ইবি ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’