গত ৬ মাস ধরে ওই নারীর সাথে স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পুকাশ গ্রামের মো. আব্দুর রবের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া (৩৫)।
বিষয়টি গ্রামের মুরব্বি ও যুবসমাজের নজরে আসলে শুক্রবার সকালে তারা গ্রাম্য সালিশে বসেন। বৈঠকে উভয়জনের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি পাওয়ায় তাদেরকে বিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কাজী ও মৌলভীকে ডেকে আনা হয়। বিবাহ সম্পাদনের জন্য কাজী ও মৌলভী উপস্থিত হলে আব্দুল্লাহ ওই নারীকে বিবাহ করবে না বলে জানায়।
বর্তমানে ওই ধর্ষক ও ভুক্তভোগী নারী গোয়াইনঘাট থানা হেফাজতে রয়েছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের ভুক্তভোগী ওই বিধবা নারীর দুটি সন্তান রয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানায় বিধবার দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৬/৭ বছর পূর্বে দুটি সন্তান রেখে মারা যান তার স্বামী। দুটি সন্তানের দিকে তাকিয়ে আর বিয়ে করেননি তিনি। মানুষের বাড়ি কাজ করে তার দুটি সন্তানকে লালন পালন করে আসছেন। বিগত ৬-৭ মাস পাশের বাড়ির আব্দুল্লাহ মিয়া তার ঘরে ঘনঘন যাতায়াত শুরু করে। আশা যাওয়ার মধ্যে অবৈধভাবে দৈহিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিতো। পরে তাকে বিবাহের আশ্বাস দিলে গত ৬-৭ মাস থেকে আব্দুল্লাহর সাথে দৈহিক সম্পর্ক হয় ওই নারীর। পরে তাদের অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের কথা পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মুরব্বিরা শুক্রবার সকালে গ্রাম্য সালিশে বসেন। বৈঠকে আব্দুল্লাহকে ওই নারীকে বিয়ে করা কথা বললে সে অপারগতা দেখায়। তখন সালিশের মুরব্বিরা ওই নারীর ভবিষ্যতের জন্য কোনো কিছু করে দেয়া আহ্বান করলে তাতেও নিজের অপারগতা প্রকাশ করে আব্দুল্লাহ।
পরে আর কোনো উপায় না দেখে গোয়াইনঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, গোয়াইনঘাট থানার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনে আব্দুল্লাহকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বর্তমানে আবদুল্লাহ ও ভুক্তভোগী নারী থানা হেফাজতে রয়েছেন এবং এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।