ইতোমধ্যে জেলা সদর থেকে চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় যোগাযোগের সড়কটির কয়েক স্থানে পানিতে ডুবে গেছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, বর্তমানে পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯.৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘এ উপজেলার অধিকাংশ পানিতে ডুবে গেছে। ইতোমধ্যে ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে আমরা দুর্গতদের খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু করেছি।’
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘দ্বিতীয় দফার এ বন্যার পানিতে জেলার ৩০ ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রামে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে শহরে আসার সড়ক পানিতে ডুবে বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি জানান, দুগর্তদের মাঝে শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।