কক্সবাজার পুলিশের অতিরিক্ত সুপারইনটেনডেন্ট (এএসপি) ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলার কালারমার ছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শনিবার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে জলদস্যুদের এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামানের কাছে অস্ত্র জমাদানের মধ্য দিয়ে আত্মসমর্পণ করবে কুখ্যাত ডাকাত, জলদস্যুসহ অস্ত্র কারিগর জাফর আলম।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, স্থানীয় অন্যান্য সংসদ সদস্য, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি টিভি চ্যানেল আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম এম আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় ‘জলদস্যুরা’ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আত্মসমপর্ণ করতে সম্মত হয়েছেন। তারা দেড়শ’ অস্ত্র, ২ হাজার আধুনিক বোমা ও ধারালো অস্ত্র জমা দেবেন।
ইকবাল জানান, শুক্রবার পর্যন্ত ৭৮ জন ডাকাত পুলিশের সেফ হোমে আশ্রয় নিয়েছে এবং শনিবারের মধ্যে এই সংখ্যা ১০০ তো পৌঁছাতে পারে।
সেফ হোমে আশ্রয় নেয়া এক ডাকাতের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘জাফর অস্ত্র কারখানা’ থেকে সারা দেশে বিভিন্ন অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত মহেশখালী উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়ন। এলাকায় প্রায়ই খুন, লুটপাট, দস্যুতা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম ঘটে থাকে।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহেশখালীর ওইসব দুর্গম এলাকায় অসংখ্যবার অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারাখানা আবিষ্কারসহ জলদস্যুদের গ্রেপ্তার করেছে। এবার সন্ত্রাসীরা নিজেরাই এসব অপকর্ম ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাচ্ছেন।