গত ১১ অক্টোবর এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এবাদুল্লাহ মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের দেবেঙ্গাপাড়া গুলগুলিয়া পাড়ার মো. আলী প্রকাশ নবাব মিস্ত্রির ছেলে।
অভিযুক্ত অন্য দুইজন হলেন- গুলগুলিয়া পাড়ার মো আলীর ছেলে খায়রুল আমিন ও একই এলাকার আলী আহামদের ছেলে নূরুল হাকিম।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বরাতে পুলিশ জানায়, ওই স্কুলছাত্রীর সাথে এবাদুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ১১ অক্টোবর সাড়ে ৯টার দিকে প্রেমিক এবাদুল্লাহ ফোন করে ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে। সে বের হয়ে প্রেমিকের সাথে তার দুই বন্ধুও খায়রুল আমিন ও নূরুল হাকিম দেখতে পায়। একপর্যায়ে প্রেমিকসহ তিনজনই জোর করে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এরফান উল্লাহ জানান, ঘটনার পরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের কথা জানিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে ধর্ষকরা। দাবি করা চাঁদা না দিলে ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। চাঁদার টাকা নিতে ১২ অক্টোবর রাতে স্থানীয় ধানক্ষেতে আসতে বলা হয়। টাকা নেয়ার জন্য আসলে ধানক্ষেতে ওৎ পেতে থাকে মেম্বারসহ স্থানীয় লোকজন এবাদুল্লাহকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার প্রেমিক এবাদুল্লাহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।