বয়সে তারা তরুণ, কেউ এসএসসি কেউবা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সকলের স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবারের হাল ধরবে। তাদের পিতা মাতার মনে ছিল হাজারো স্বপ্ন। কিন্ত সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই তারা ১১ জন আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে সাত শিক্ষার্থীসহ ১১ জনের প্রয়াণে চট্টগ্রামের হাটহাজারী আমানবাজারের চলছে শোকের মাতম। বাড়িতে বাড়িতে চলছে আহাজারি। এমন ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে যেন নেমে এসেছে ঘোর অমানিশার অন্ধকার।
এই গ্রামের মানুষ এখন শোকে স্তব্ধ। এলাকার লোকজন মেনে নিতে পারছেন না মেধাবী তরুণদের অকাল মৃত্যু।
শনিবার হাটহাজারীর খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জানাযায় নামে মানুষের ঢল। এলাকার একসঙ্গে এতগুলো তরুণের চলে যাওয়া এলাকাবাসী যেন কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
এক বাড়িতে ভীড়ের মাঝে দেখা গেল মধ্যবয়সী ব্যক্তির আহাজারি। তাকে সান্ত্বনা দেবে কে, স্বজনদের কান্নাও থামছে না। জানা গেল, এই হামিদ দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন জিয়াবুল হক সজীবের বাবা।
কাঁদতে কাঁদতেই হামিদ বলে ওঠেন, ‘ছেলে বলেছিল বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে। একটু একটু করে সেই স্বপ্ন পূরণও করছিল। এখন সে নেই, আমাদের কী হবে? বাবা সজীব, তোকে ছাড়া কীভাবে বাঁচব!’
হামিদ একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। কোনমতে সংসার চলে। একদিন ছেলে সব দুঃখ ঘোচাবে-সজীবকে ঘিরে এমন স্বপ্নই দেখেছিলেন বাবা। ছেলেও সেই পথে এগোচ্ছিলেন। যদিও টাকার অভাবে ২০১৮ সালেই থেমে যায় তার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। কিন্তু থেমে যাননি সজীব।