কর্তৃপক্ষের দাবি, হামলার সময় কারখানার অফিস কক্ষ ভাঙচুর এবং ল্যাপটপসহ নগদ ৪-৫ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে।
আরকে ডোর কারখানার মালিক জুয়েল হোসেন বলেন, ‘বুধবার বিকালে আমার কারখানার একটি মাল বোঝাই ট্রাক সীমাখালী বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সাইড দেয়া নিয়ে হরিশপুর গ্রামের রেজাউল নামের এক ব্যক্তির সাথে চালকের কথা কাটাকাটি হয়। তুচ্ছ এ ঘটনায় রেজাউল ট্রাকচালকের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। সংবাদ পেয়ে কারখানার শ্রমিকরা এগিয়ে গেলে তাদের সাথেও ঝামেলা হয়।’
তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কারখানার শ্রমিকরা মিলে প্রথমে রেজাউলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।
এ ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরিশপুর গ্রামের জসিম মেম্বার, আজিজ, তরিকুল, হুমায়ন, করিব ও আলমগীরের নেতৃত্বে প্রায় ২ শতাধিক লোক কারখানায় হামলা চালায়।
পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে নয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কারখানায় অনেক দরিদ্র শ্রমিক কাজ করার কারণে কারখানাটি বন্ধ না করে চালু রাখতে বলা এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শালিখা থানায় মামলা হয়েছে।’