বুধবার আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, জেলার পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, কুমার ও পালরদি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৭০ হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর ভাঙনে মঙ্গলবার শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ির একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মাদবরের চর, বন্দরখোলা, দওপাড়া, উৎরাইল, নিলখী ও কাঠালবাড়ি এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীভাঙনের মুখে পরেছে।
এদিকে, শিবচর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পদ্মা নদী তীরের অনেক বাড়ি ঘর বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এ উপজেলার মোট ১২টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ তাদের গবাদি পশু নিয়ে পানিবন্দী হয়ে অর্ধহার-অনাহারে দিনাতিপাত করছে।
ইতোমধ্যে উপজেলার ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজারেরও বেশি বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচঁটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মোট ২০ হাজার লোক পানিবন্দী জীবনযাপন করছে।
রাজৈরের কদমবাড়ি, কবিরাজপুর, বদরপাশা বাজিদপুর, ইশিবপুর ও আমগ্রাম ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষ বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাজৈর কদমবাড়ি সড়ক।
এদিকে, কালকিনি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১০ হাজার লোক বন্যার পানিতে আটকা পরেছে।