নিহত শিশু হামিম (৮) উপজেলার জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকার হারুনের ছেলে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুরে জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকায় শিশু হামিম খেলতে খেলতে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে যায়। এলাকাবাসী ও রোগীর স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরীক্ষার-নিরীক্ষার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটিকে মর্গে পাঠানোর পর সেখানে শিশুটি হঠাৎ নড়েচড়ে উঠেছে এবং জীবিত আছে বলে স্বজনরা হৈচৈ শুরু করে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর
পরে পুনরায় শিশুটিকে হাসপাতালের নিয়ে আসা হলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পুনরায় শিশুটির ইসিজি করেন এবং শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, তিনি নিজে শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখে মৃত ঘোষণা করে লাশ মর্গে পাঠান। সেখানে শিশুটির পেটে চাপ দিলে পানি বের হওয়ায় শিশুটির স্বজনরা মনে করেন শিশুটি জীবিত আছে। পরে শিশুটিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ‘এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। আমরা শিশুটির ইসিজি করেছি এবং লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মামলা