গত সোমবার মারা যাওয়া আলী হোসেনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার করোনা পজেটিভ আসে। আর তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ওই দিন দুপুরে নমুনা দেয়ার পর রাতেই মারা যান।
তারা উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আলী হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত সোমবার করোনা উপসর্গ নিয়ে যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা মারা যান। আর বৃহস্পতিবার তার মোবাইল ফোনে এসএমএস আসে যে তার বাবা করোনা পজেটিভ ছিলেন।
আলী হোসেনের পজেটিভ প্রতিবেদন আসার পর করোনা উপসর্গ থাকা সুফিয়া খাতুনের (৬৫) নমুনা নেয়া হয়। তবে রাতেই তিনি মারা যান বলে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি জানিয়েছেন।
মৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, এক সপ্তাহ ধরে আলী হোসেনের জ্বর ছিল। পরে তিনি সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু ১১ জুলাই আবার জ্বর আসলে তাকে চৌগাছা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে শ্বাসকষ্ট থাকা আলী হোসেনকে যশোর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, করোনা উপসর্গে সুফিয়া খাতুনের মৃত্যু হওয়ায় গ্রামের কোনো ব্যক্তি তার লাশ দেখতেও আসেননি। লাশ নিয়ে সারা রাত ছেলে আব্দুর রাজ্জাকসহ পরিবারের সদস্যরা বসে ছিলেন। পরে শুক্রবার সকালে চৌগাছা পৌর মেয়রের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান সংস্থা ‘অগ্রযাত্রা’র সদস্যরা ওই গ্রামে যান। তারা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সুফিয়া খাতুনকে দাফন করেন।