যশোরের শার্শায় লাবনী খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বাগঁআচড়ার সাতমাইল গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, পরকীয়ার জেরে লাবনীকে তাঁর স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ইমামুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। শনিবার বিকেলে পুলিশ লাবনীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটে স্ত্রীকে ‘হত্যার’ পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
লাবনী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চাকলা কাঁটালতলা গ্রামের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, পাঁচ বছর আগে লাবনী খাতুনের বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলাম শফির ছেলে ইমামুল ইসলামের সঙ্গে। প্রথম দিকে সংসার জীবন ভালো চললেও বাঁধ সাধে স্বামীর পরকীয়া। শুক্রবার রাতে স্বামীর ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম আলাপের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পান লাবনী। এ বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমামুল লাবনীকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রী মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার মুকুন্দ চন্দ্রের
নিহতের বাবা সবুজ আলী গাজী জানান, ইমামুল প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো। মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন রয়েছে। সকালেও তাকে মারধর করা হয়। পুলিশ আসার খবরে ইমামুলসহ বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। এ হত্যার সঠিক বিচার চাই। পুলিশ তদন্ত করলে রহস্য উদঘাটন হবে।
আরও পড়ুনঃ স্বামীকে হত্যা করে রান্নাঘরে পুঁতে রাখেন স্ত্রী
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। নিহতের বাপের বাড়ির লোকজন আপাতত অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করছে।
লাশ ময়নাতদন্ত শেষে যদি হত্যা প্রমাণিত হয় তখন হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।