উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রাম থেকে বুধবার রাতে মেছোবাঘটিকে আটক করেন কৃষকরা। এরপর প্রথমে বাঘটিকে বস্তায় ভরে রাখা হলেও শুক্রবার একটি মুরগির খাঁচায় বাঘটিকে রেখেছেন তারা।
এদিকে, শুক্রবার সকালে উপজেলা বন কর্মকর্তা ওমর আলী গাজী এবং বেনাপোল স্থল বন্দর বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের বন কর্মকর্তা মামুন-অর-রশিদকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানানো হলেও বিকাল ৪টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাঘটিকে উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
মেছোবাঘটিকে আটক করার সময়ে বাঘটি একজনকে কামড়ে দিয়েছে। এখন আবার ছেড়ে দেয়া হলে অন্য কাউকে যদি কামড়ে দেয় বা কেউ বাঘটিকে মেরে ফেলে এ ভয়ে বাঘটিকে ছাড়তেও পারছেন না তারা।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতা মিয়া জানান, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে নিজের বাড়িতে বাঘটিকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়। এসময় বাঘটি লতামিয়ার মেজো ভাই সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে সবাই মিলে বাঘটিকে ধরে ফেলেন।
তিনি বলেন, ধরার সময় মেছোবাঘটি আহমদ আলী নামে একজনকে কামড়ে দেয়। পরে বাঁশ দিয়ে মেছোবাঘটিকে কাবু করে প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা হয়। শুক্রবার দুপুরে একটি মুরগি রাখার খাঁচায় বাঘটিকে আটকে রাখা হয়।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত লাগোয়া আমাদের গ্রাম। সীমান্তের ওপারে (ভারতে) বনজঙ্গল থেকে বাঘের বাচ্চাটি এদিকে চলে এসেছে, যোগ করেন লতা মিয়া।
আটককৃত মেছোবাঘটি উচ্চতায় একফুট ৩০ ইঞ্চি লম্বা হবে বলে জানান তিনি।