দুপুর ২টার দিকে বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে আনলোড করা হয় এই ৮টি ইঞ্জিন।
চলতি বছরের মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করার কথা ছিল এই ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন। যার ধারাবাহিকতায় শনিবার বন্দরে এসে পৌঁছায় প্রথম চালানের ৮টি। এভাবে আরও ৪ দফায় জাহাজে চড়ে আসবে বাকি ৩২টি ব্রডগেজ।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্প (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এসব ইঞ্জিন। যার সবকটি খালাস করার কথা রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেই হিসেবে প্রথম চালানটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছে গত জানুয়ারিতে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর ডামি চাকা লাগিয়ে ইঞ্জিনগুলো প্রাথমিকভাবে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ঢাকার টঙ্গী স্টেশনে। সেখান থেকে এগুলোর চূড়ান্ত গন্তব্য হবে পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানা (কেলোকা)। যেখানে বাংলাদেশের মিটারগেজ ও ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ ও ভারী সংস্কারের কাজ করা হয়।
আরও পড়ুন: ২৭ ঘণ্টা পর কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী-ফরিদপুর রুটে ট্রেন চলাচল সচল
ঢাকা-জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন ২৬ মার্চ চালু
গাজীপুরে ট্রেন আটকে রেখে আন্দোলন
তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে টঙ্গী পৌঁছানো পর্যন্ত ডামি চাকায় ইঞ্জিনের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। পরে মূল চাকা লাগিয়ে ট্রায়ালরানসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর যার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার-এমনটাই আশাবাদ রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের।
বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) সাদেকুর রহমান জানান, ইঞ্জিনগুলো মিটারগেজের বগি দিয়ে টঙ্গী যাওয়ার কথা রয়েছে। টঙ্গীতে এসে ব্রডগেজের চাকা যুক্ত করা হবে। পরে ঢাকা ডিজেল শপে ঢুকে ইঞ্জিনগুলো ‘ফিট টু রান’ করা হবে। এরপর কেলোকায় আসার কথা রয়েছে ইঞ্জিনগুলো।