রবিবার বিকেলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক উপেন্দ্র চন্দ্র দাস এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নবীদুল ইসলাম গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য কুড়িয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজশাহী রেঞ্জে কনস্টেবল পদে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত।
মাললার এজাহারে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে নবীদুল ফুলছড়ি উপজেলার পূর্ব ছালুয়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে লিপি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় সাত লাখ টাকা। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে নবীদুল যৌতুক হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করেন শ্বশুর আকবরের কাছে। টাকা না দেয়ায় নির্যাতন চালাতে শুরু করেন স্ত্রী লিপি আক্তারের ওপর।
পরবর্তীতে স্ত্রী নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি ফুলছড়ি আমলি আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। পরে এ মামলায় স্বামী নবীদুল ২০১৯ সালের ৬ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ছয় দিন কারাভোগ থাকার পর জামিনে মুক্তি নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন নবীদুল।
এ বিষয়ে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আসামি নবীদুল দেনমোহরের সাত লাখ টাকা স্ত্রী লিপিকে একযোগে পরিশোধ করার শর্তে জামিন পান। কিন্তু পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে দেনমোহরানা পরিশোধ ও আদালতে হাজিরা দেননি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।’
এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
আদালতের পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারে আদেশ দিয়েছেন বিচারক।’